ময়মনসিংহের গৌরীপুর গণপাঠাগারের উদ্যোগে গেল রোববার (২৮অক্টোবর/২৩) গণপাঠাগারের কার্যালয়ে সংগঠনের অন্যতম উদ্যোক্তা সহকারী প্রধান পরিচালক সত্যেন্দ্র চন্দ্র দাসের স্মরণসভা ও কীর্তন অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতেই তার বিদেহী আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন পাঠাগারের প্রধান পরিচালক রণজিৎ কর। সঞ্চালনা করেন নির্বাহী পরিচালক মো. আমিরুল মোমেনীন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন গৌরীপুর টেক্সটাইল ভোকেশনালের সাবেক সুপারিনটেনডেন্ট প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, গৌরীপুর পাবলিক কলেজের অধ্যক্ষ মো. শফিকুল ইসলাম মিন্টু, ভূটিয়ারকোনা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম মোহাম্মদ, গৌরীপুর স্বজন সমাবেশের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি অধ্যাপক আহসানুল হক, গৌরীপুর পুজা উদযাপন কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রতন সরকার, সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কর, রাষ্ট্রীয় পদকপ্রাপ্ত মৎস্য খামার মালিক যতীন্দ্র চন্দ্র বর্মণ, উদীচীর সাবেক সভাপতি একেএম মাজহারুল ইসলাম পলাশ, উপজেলা স্বজন সমাবেশের সভাপতি মো. এমদাদুল হক, সাধারণ সম্পাদক সেলিম আল রাজ, সহসভাপতি শামীমা খানম মীনা, সাংস্কৃতিক সম্পাদক গোপা দাস, যুগান্তরের গৌরীপুর প্রতিনিধি মো. রইছ উদ্দিন, গণপাঠাগারের সহকারী নির্বাহী পরিচালক আরিফ আহমেদ, অর্থ পরিচালক নূরুন নঈম মনন, পরিচালক জাকিয়া কানন, কবি আফরোজা আবেদীন, আব্দুস সালাম, আলী আশরাফ আবির, সত্যেন দাসের পুত্র শুভ দাস প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে সত্যেন দাসের ছোট ছেলে শুভ চন্দ্র দাস আবেগঘন বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি গৌরীপুর গণপাঠাগারের প্রতি পিতার স্মরণ সভা অনুষ্ঠানটি করার জন্য কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি আরো বলেন, এই পাঠাগারটির সফলতার মাধ্যমেই তার পিতার স্মৃতি বেঁচে থাকবে। পাঠাগারে আসলেই পিতার কথা মনে পড়ে।
অধ্যক্ষ শফিকুল ইসলাম মিন্টু বলেন, সত্যেন দাস একজন সৎ, নিষ্ঠাবান সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মী ছিলেন। অধ্যক্ষ গোলাম মোহাম্মদ বলেন, সত্যেন দাস ছিলেন একজন সৃজনশীল মানুষ। তিনি শিক্ষাবান্ধব একটি সমাজ গঠনের জন্য এই গৌরীপুর গণপাঠাগারের প্রতিষ্ঠায় তার ভূমিকা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি রতন সরকার সত্যেন দাসকে একজন নিষ্ঠাবান ধার্মিক মানুষ ছিলেন। তিনি বিভিন্ন মন্দিরের উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা পালন করে গেছেন। অনুষ্ঠানের সভাপতি প্রধান পরিচালক রণজিৎ কর বলেন, সত্যেন দাস একজন মননশীল মানুষ ছিলেন। তিনি একটি পাঠাগার প্রতিষ্ঠা ও একটি সংগীত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বপ্ন দেখতেন। তার হাত ধরেই সৃষ্ঠি হয়েছে গৌরীপুর গণপাঠাগার। এছাড়াও এলাকায় বর্তমানে একাধিক সংগীত শিক্ষার প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি হওয়ায় তার স্বপ্নের বাস্তবায়ন তিনি জীবদ্দশাতেই দেখে গেছেন। এছাড়া বক্তারা সত্যেন দাসের আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।#